আমরা এমন এক দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি যেখানে যে কেউ এসে তার ভাগ্য গড়তে পারে, হোক না সে যেকোন জাতের মানুষ, যেকোন বর্ণের মানুষ, যেকোন দেশের মানুষ। আমাদের দেশ যদি কোন মানুষকে আশ্রয় দিতে পারে, যদি কোন মানুষের স্বপ্নের জীবন দিতে পারে তাহলে আমাদের সেই দেশের প্রতি গর্ভ হওয়া উচিত।
আমরা কখনো এমন দেশ চাই না, যেখানে কোন মানুষকে বেচে থাকতে খুব কষ্ট করতে হয়। আমরা এমন দেশ চাই না, যেখানে সব বর্ণের, সব জাতের মানুষ তাদের জীবিকা খুব কষ্ট করে জোগাতে পারে।
তাহলে আমরা আমাদের জীবনকে কেমন তৈরী করতে চাই, যেখানে কোন মানুষ আসলে ভালবাসায় তার স্বপ্নকে সত্যি করতে পারবে। সে যে কেউ হোক না কেন। আমাদের জীবনে যদি কেউ তার সেই স্বপ্নকে সত্যি করার আশ্বাস পায় তবে আমাদের নিজেদের সেই জীবনের উপর গর্ভ করা উচিত।
কয়েকজন সদস্য নিয়ে গঠিত একটি পরিবার একটি রাষ্টের ক্ষুদ্রতম একক। তাই রাষ্টনীতি পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও কাজে লাগে।
আমরা যাকে ভালবাসি তাকে সবচেয়ে ভালো জায়গায় রাখতে চাই, তার জন্য ভাল জায়গা দিতে চাই। তাহলে আমি কি ভালো জায়গায় আছি যাতে আমি তাকে ভালো জায়গা দিতে পারব ? আমার পায়ের তলায় যে মাটি আছে তার পাশে আর একজন দাড়াতে পারবে?
আমাদের যে স্বভাবগুলি দেখে কেউ আমাদের সাথে সুখে থাকার আশ্বাস পায়, সেগুলি অন্য কাউকে সুখী করার আগে আমাদেরকে সুখে রাখে। যে তার জীবনকে তার স্বভাব, চরিত্রে সুন্দর করে তুলেছে, যার জীবন অন্য সকলের কাছে প্রেরনা, তার জীবনে যে কেউ আসুক না কেন তারা দুজন সুখী হবে।
আমার জীবন অন্য কারোর যোগ্য হবার আগে প্রথমে নিজের জীবন নিজের যোগ্য করে তোলা উচিত। অন্য কেউ আমার সাথে সুখে থাকার আগে প্রথমে নিজে নিজের জীবনে সুখী হতে হবে।
আমার স্বভাব কী প্রতিদিন আমাকে খুব সুখে থাকতে দেয়? নিজে নিজের সাথে সুখে না থাকলে আর একজনের সাথে তা আরও খরাপ হয়ে উঠবে। একজন মানুষ যদি তার নিজের সমস্যার সমাধান করতে না পারে আর একজনের সাথে তার সমস্যার বোঝা অনেক বেড়ে যাবে।
আমার স্বভাব কী প্রতিদিন আমাকে খুব সুখে থাকতে দেয়? নিজে নিজের সাথে সুখে না থাকলে আর একজনের সাথে তা আরও খরাপ হয়ে উঠবে। একজন মানুষ যদি তার নিজের সমস্যার সমাধান করতে না পারে আর একজনের সাথে তার সমস্যার বোঝা অনেক বেড়ে যাবে।
তাই প্রথমে নিজের জীবনকে এক সুন্দর জীবন রূপে গড়ে তোল। যে সব কিছু আমাদের জীবনকে সুন্দর করে, যে সব স্বভাব আমাদের মনকে সুস্থ রাখে তাতে আমাদের জীবন অন্য কাউর জন্যও যোগ্য হয়ে উঠবে।
অন্য কাউর সাথে কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগে প্রথমে আমাদের নিজেদের সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একটি মানুষের দুইবার জন্ম হয় একবার হয় ভ্রুনে ও একবার হয় এই পৃথিবীতে। প্রথমে তার শুধু নিজের সাথে সম্পর্ক তারপর এই পৃথিবীর সাথে। তেমনি আমাদের প্রথম সম্পর্ক নিজেদের সাথে তৈরী হয়, আমরা আমাদের স্বভাব, আমাদের ব্যক্তিত্ব, আমাদের মনের সাথে যে সম্পর্ক গড়ে তুলি, সেই সম্পর্ক সুন্দর হলে আমরা যাদেরই সংস্পর্শে আসি তাদের সাথেও আমাদের সম্পর্ক ভালো হয়।
একজন মানুষ যদি তার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে , সে সহজে হাসে, সবাই তার বন্ধু হয়, তার মুখে লালিমা বজায় থাকে, তখন সে সকলকে আকর্ষন করে। যে হাসতে ভুলে গেছে তাকেও সে হাসতে শেখায়, যে জীবনকে উপভোগ করতে শেখায় তাকেও সে বেচে থাকতে শেখায়। তাই তার ব্যক্তিত্ব সকলের কাছে আকর্ষনীয়।
সে একা থাকে তবে নিঃসঙ্গ নয়। একা থাকার অর্থ নিজের সাথে থাকা, সে নিজের সাথে থেকে কখনো নিজেকে নিঃসঙ্গ অনুভব করে না। নিঃসঙ্গতা জীবনে অন্য করোর অনুপস্হিতি শুধু নয়, নিজে নিজের প্রতি ভালবাসার শুন্যতা। যে নিজেকে কখনো নিঃসঙ্গ অনুভব করে না, সে নিজে নিজের সাথে সেই সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
সে যখন কাউর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তখন সে তার সঙ্গীকে দেয়, তার থেকে নেবার আসা করে না। সে কোন সম্পর্ক গড়ে তোলে কাউর থেকে কিছু পাবার জন্য নয়, বরং কাউর সাথে নিজের জীবনকে উপভোগ করার জন্য। তার অর্থ, সুখ, শান্তি, কাউর সাথে শেয়ার করার জন্য।
পৃথিবীতে মাত্র একটাই জিনিস আছে যা শেয়ার করলে বাড়ে তা হল আনন্দ। কেউ ব্যবসায় সফল হলে যেমন অনুষ্ঠান করে, জন্মদিনে সবাইকে নিমন্তন করে কেক কাটে। তেমন সেই রকম মানুষ সুখী হবার জন্য বিয়ে করে না বরং তার সুখকে শেয়ার করার জন্য।
সে যখন কাউর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তখন সে তার সঙ্গীকে দেয়, তার থেকে নেবার আসা করে না। সে কোন সম্পর্ক গড়ে তোলে কাউর থেকে কিছু পাবার জন্য নয়, বরং কাউর সাথে নিজের জীবনকে উপভোগ করার জন্য। তার অর্থ, সুখ, শান্তি, কাউর সাথে শেয়ার করার জন্য।
পৃথিবীতে মাত্র একটাই জিনিস আছে যা শেয়ার করলে বাড়ে তা হল আনন্দ। কেউ ব্যবসায় সফল হলে যেমন অনুষ্ঠান করে, জন্মদিনে সবাইকে নিমন্তন করে কেক কাটে। তেমন সেই রকম মানুষ সুখী হবার জন্য বিয়ে করে না বরং তার সুখকে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সময় এমন অনেককে বলতে শুনি জীবনে সবকিছু আছে, কোন কিছুর অভাব নেই, তবুও কথাও যেন একটু শুন্যতা, কোথাও যেন আসম্পুন্ন , মনের কোন এক জায়গায় খালি। তারা ভাবে বিয়ের পর কেউ এসে তাদের সেই খালি জায়গাকে পূর্ণ করবে।
কোন ভিক্ষুক একটি শহরের রাস্তায় বসে আছে সে ভাবল এই রাস্তা দিয়ে যে যাবে সে তার কাছে ভিক্ষা চাইবে, কিছুক্ষণ পরে সেই রাস্তায় যে আসল সে তার কাছে গিয়ে দেখে তার কাছেও একটি ভিক্ষার ঝুলি।যখন তার কাছে কিছু পেল না সে আর একজনের কাছে গেল ভিক্ষা করতে।
এখন কেউ যদি ভাবে বিয়ের পর কেউ আমার খালি জায়গাকে পূর্ণ করবে তাহলে সে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছে, যদি কেউ তার ঝুলি ভরতে না পারে, যে ভরতে পারে বলে সে মনে করবে সে তখন তার কাছে চলে যাবে। তাই আজকে এত সম্পর্ককে ভেঙে যেতে দেখা যায়। যদি দুজন মানুষের ভেতর একজন দিতে পারে, ও একজন গ্রহন করে তবে সেই সম্পর্ক ভালো হয়, তবে যদি কোন সম্পর্কে দুজনই দুজনকে দিতে পারে তবে সেই সম্পর্ক কত সুন্দর হবে?
এখন কেউ যদি ভাবে বিয়ের পর কেউ আমার খালি জায়গাকে পূর্ণ করবে তাহলে সে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বসে আছে, যদি কেউ তার ঝুলি ভরতে না পারে, যে ভরতে পারে বলে সে মনে করবে সে তখন তার কাছে চলে যাবে। তাই আজকে এত সম্পর্ককে ভেঙে যেতে দেখা যায়। যদি দুজন মানুষের ভেতর একজন দিতে পারে, ও একজন গ্রহন করে তবে সেই সম্পর্ক ভালো হয়, তবে যদি কোন সম্পর্কে দুজনই দুজনকে দিতে পারে তবে সেই সম্পর্ক কত সুন্দর হবে?
তাই কাউর সাথে কোন সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে সেই সম্পর্ক নিজের সাথে গড়ে তোল। কাউর সাথে নিজের জীবনকে যত সুন্দর করতে চাও, নিজের সাথে জীবনকে তত সুন্দর কর। নিজে নিজের জীবনকে সবদিক থেকে পূর্ণ করলে সে সুখে থাকে, ও তার জীবন সুন্দর হয়, তখন তার জীবন অন্য আর একজনের জন্য খুব যোগ্য হয়ে ওঠে। যে বলে আমি এখন একা তবে নিঃসঙ্গ নই, কারন তার মন নিঃসঙ্গের ব্যথাকে অনুভব করে না, তাই তার মনে অভাব নেই, তার কাছে আছে শুধু সম্পদ।
সেই দেশের প্রতি সকলের খুব আকর্ষন হয়, যেখানে অনেক সুযোগ, যেখানে মানুষ তার স্বপ্নকে সত্যি হতে দেখতে পায়, যেখনে মানুষ তার ভাগ্যকে গড়ে তোলার আশ্বাস পায়। তেমনি যার কাছে কেউ তার স্বাধীনতার সুযোগ পায়, যার কাছে তার স্বপ্নকে সত্যি করার ভরসা দেখতে পায়, যার সাথে সে সুখে থাকতে পারবে বলে মনে করে সেই ব্যক্তির প্রতি সে আকর্ষিত হয়।
স্বাধীনতা, কোন রকম ক্ষমতা সবসময় আমাদের ভেতরের প্রকৃত মানুষকে বার করে। একটি পাখি যদি খাচায় থাকে সে উড়তে পারে না, তবে যদি খাচার বাইরে বেরিয়ে যায় তখন বোঝা যায় সে উড়তে পারে নাকি। যদি সে উড়ে যেত তার অর্থ দুটো হতে পারে সে তার মালিককে ভালবাসে না, নয় সে যেখানে উড়ে চলে গেছে সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারছে না। কাউকে স্বধীনতা দিলে কেউ তার সঙ্গীকে হারিয়ে ফেলে না, যদি তার সঙ্গী তাকে ভালবাসে।
স্বাধীনতা, কোন রকম ক্ষমতা সবসময় আমাদের ভেতরের প্রকৃত মানুষকে বার করে। একটি পাখি যদি খাচায় থাকে সে উড়তে পারে না, তবে যদি খাচার বাইরে বেরিয়ে যায় তখন বোঝা যায় সে উড়তে পারে নাকি। যদি সে উড়ে যেত তার অর্থ দুটো হতে পারে সে তার মালিককে ভালবাসে না, নয় সে যেখানে উড়ে চলে গেছে সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারছে না। কাউকে স্বধীনতা দিলে কেউ তার সঙ্গীকে হারিয়ে ফেলে না, যদি তার সঙ্গী তাকে ভালবাসে।
ভালবাসা কখনো কারোর স্বপ্নকে মুছে দেয় না, বরং ভালবাসা নতুন করে মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। যে স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে সে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। “আশাপূর্না দেবী” বাংলা সাহিত্যের একজন শিল্পী। তিনি যখন ভেবেছিলের ঘরের বউ হয়ে গল্প কবিতা লিখবে সকলে তার উপর কত রসিকতা করেছিল। তবে তার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে তার স্বামীর আনুকূল্যে। তার স্বামীর জন্য সে “আশাপূর্ণা দেবী” হয়েছে। স্বাধীনতা তাকে নিজেকে চিনতে শিখিয়েছে, সে কি করতে পারে, না পারে তা শুধু তার স্বাধীনতায় প্রকাশ পায়।
একজন মানুষের সমাগ্রিক বিকাশ শুধু তার স্বাধীনতায় হয়। কেউ যখন তাকে পুরোপুরি বিকশিত করে তখনি সে কাউকে পুরোপুরি ভালবাসে। তার জীবনের প্রতিটি দিক যদি উন্মুক্ত থাকে তবে সবদিক থেকে কাউর প্রতি সেই ভালবাসা পৌচ্ছায়।
পাখি যখন খাচার বাইরে থাকে তখন সে উড়তে পারে, খাচার মধ্যে সে উড়তে ভুলে যায়। তখন তার মালিক যদি ভাবে খাচার ভেতরের পাখিটি তাকে ভালবাসে তাহলে সে খাচার ভেতর বন্ধি, যে অসুস্হ, যে উড়তে পারে না, খাচার বাইরের জগৎ দেখেনি সেই পাখিটি তাকে ভালবাসে। তবে যদি সেই পাখিটি খাচার বাইরে থাকত সেই স্বাধীন, সুস্থ, যে সব জায়গায় যেতে পারে, যে বাইরের জগৎ দেখেছে সেই পাখিটি তাকে ভালবাসত।
আমরা সবাই এমন একটি পাখির ভালোবাসা চাইব যে উড়তে পারে। সবাইকে দেখাতে চাই ‘ও কে আমি কখনো খাচায় বন্ধি করে রাখি না, তবুও কখনো আমাকে ছেড়ে কথাও যায় না’ শুধু তখন আমাদের গর্ভ হওয়া উচিত। কারন মানুষ যে ভালবাসার শুধু প্রত্যাশা করত, শুধু স্বপ্ন দেখত তুমি সেখানেই বেচে আছ।
আমরা সবাই এমন একটি পাখির ভালোবাসা চাইব যে উড়তে পারে। সবাইকে দেখাতে চাই ‘ও কে আমি কখনো খাচায় বন্ধি করে রাখি না, তবুও কখনো আমাকে ছেড়ে কথাও যায় না’ শুধু তখন আমাদের গর্ভ হওয়া উচিত। কারন মানুষ যে ভালবাসার শুধু প্রত্যাশা করত, শুধু স্বপ্ন দেখত তুমি সেখানেই বেচে আছ।
কাউকে স্বাধীনতা দিলে তার সামগ্রিক বিকাশ হয় তখন তার কাছ থেকে যদি হিরে পাবার ভাগ্য থাকে, তবে স্বাধীনতা না দিয়ে তার কাছ থেকে লোহা কেন পাব। আরও সুন্দর মানুষকে ভালবাসার বদলে পরাধীনতায় স্বল্প ভাগ্য নিজের কপালে কেন লিখব?
স্বামী তার স্ত্রীকে স্বাধীনতা দেয়, স্ত্রী তার স্বামীকে নিজের মত থাকতে দেয়। কাউর স্বভাব যদি তার কোন ক্ষতি না করে তবে তাকে তার নিজের মতই থাকতে দাও । বিয়ে বা কোন সম্পর্ক গড়ে ওঠার আগে আমরা যে রকম থাকি ভাবি বিয়ের পর সব বদলে যাবে, সেই স্বাধীনতা, অফিস শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, রাত জেগে ক্রিকেট খেলা, সেই সবকিছু বদলে যাবে।
তবে এমন অনেকে আছে যাদের জীবনে এই সবকিছুই পাল্টায় না। আমরা যখন স্বাধীন থাকি তখনি আমাদের আমি আরও ভালোভাবে প্রকাশ পায়, আর যে আমদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছে তার প্রতি আমাদের ভালবাসা জন্মায়।
তবে এমন অনেকে আছে যাদের জীবনে এই সবকিছুই পাল্টায় না। আমরা যখন স্বাধীন থাকি তখনি আমাদের আমি আরও ভালোভাবে প্রকাশ পায়, আর যে আমদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছে তার প্রতি আমাদের ভালবাসা জন্মায়।
অনেকে ভাবে স্বাধীনতা দিলে সে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। যদি আমদেরকে কেউ স্বাধীনতা দেয় তাহলে আমরা কি থাকে ছেড়ে চলে যাব? নাকি তাকে পেয়ে সবকিছু করার স্বাধীনতার জন্য পরস্পরকে আরও বেশি ভালবাসতে পারব? স্বাধীনতা পেলে আমরা যদি কাউকে আরও ভালবাসি, আমরা কাউকে স্বাধীনতা দিলে সেও আমাদেরকে আরও ভালবাসতে পারবে।
'যিশু' বলেছিলের , ‘কাউর কাছ থেকে যেমন ব্যবহার চাও, তুমি তার প্রতি তেমন ব্যবহার কর’। তেমনি তুমি যদি কাউর কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইলে, তাকেও স্বাধীনতা দাও।
'যিশু' বলেছিলের , ‘কাউর কাছ থেকে যেমন ব্যবহার চাও, তুমি তার প্রতি তেমন ব্যবহার কর’। তেমনি তুমি যদি কাউর কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইলে, তাকেও স্বাধীনতা দাও।
আমরা সেইরকম মানুষকে সবসময় ভালবাসতে পারব, যার কাছে আমরা আমদের স্বাধীনতা দেখি, আমাদের স্বপ্নকে সত্যি হতে দেখি। আমরা সুখে থাকতে তার কাছে যেসব কিছু খুজি, সেও আমাদের কাছে তাই খুঁজে বেড়ায়।
আমি অন্যের কাছে যা খুজছি তাকি আমার স্বভাবে আছে? আমার সাথে কেউ একটু পরিশ্রম করেই তার ভাগ্যকে গড়তে পারে? এই সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে থাকলে আমার বর্তমান আমার ভবিষ্যতে সুখে থাকার আশ্বাস দেবে।
আমি অন্যের কাছে যা খুজছি তাকি আমার স্বভাবে আছে? আমার সাথে কেউ একটু পরিশ্রম করেই তার ভাগ্যকে গড়তে পারে? এই সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে থাকলে আমার বর্তমান আমার ভবিষ্যতে সুখে থাকার আশ্বাস দেবে।
কেউ কখনো খুব মহান হতে চায় না, বা নিজেকে সেরকম মনে করে না। সে যার কাছে নিজের সুখ, শান্তি, আরাম দেখতে পায়, যার কাছে সে তার ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দেখে, সে তার সাথে থাকতে চায় । সে তার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা খুজতে চায়, যে কোন জায়গায় গিয়ে চেষ্টা করতে চায় না।
আমাদের সাথে কাউকে কি শুধু চেষ্টা করতে হবে? আমার জীবনে সুখ, শান্তি, আরাম না থাকলে কাউকে আমার সাথে তার সুখ, শান্তি, আরাম খুঁজে নিতে বললে আমি তাকে মহান হবারই আসা করছি।
আমাদের সাথে কাউকে কি শুধু চেষ্টা করতে হবে? আমার জীবনে সুখ, শান্তি, আরাম না থাকলে কাউকে আমার সাথে তার সুখ, শান্তি, আরাম খুঁজে নিতে বললে আমি তাকে মহান হবারই আসা করছি।
সে যখন আমাদের সাথে সুখে থাকে না, আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি, ‘কেন সে সুখী নয়’ ! তারপর তার কাছ থেকে তার সুখে থাকার আসা করি।
কেউ এসে আমদের সাথে মানিয়ে নিয়ে সুখে থাকবে, তারপর আমাদেরকেও সুখী করবে। যদি সে না করতে পারে তখন তার বিরুদ্ধে শুরু হবে অভিযোগ। একজন মানুষের পক্ষে এত প্রত্যাশা পূরণ করা যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন সেই সম্পর্ক তার কাছে বোঝা হয়ে ওঠে। যখন সম্পর্ক বোঝা হয়ে যায় তখন সেখানে ভালবাসার কোন জায়গা থাকে না, ধীরে ধীরে সম্পর্কটা ভেঙে যাবার মুখে পতিত হয়।
কেউ এসে আমদের সাথে মানিয়ে নিয়ে সুখে থাকবে, তারপর আমাদেরকেও সুখী করবে। যদি সে না করতে পারে তখন তার বিরুদ্ধে শুরু হবে অভিযোগ। একজন মানুষের পক্ষে এত প্রত্যাশা পূরণ করা যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন সেই সম্পর্ক তার কাছে বোঝা হয়ে ওঠে। যখন সম্পর্ক বোঝা হয়ে যায় তখন সেখানে ভালবাসার কোন জায়গা থাকে না, ধীরে ধীরে সম্পর্কটা ভেঙে যাবার মুখে পতিত হয়।
আমরা কাউর কাছে যে জিনিসটি আসা করি, সেও আমাদের কাছ থেকে সেই একই জিনিস আশা করে। আমরা যদি আশা করি সে আমাদের সাথে মানিয়ে নিয়ে সুখে থাকবে তাহলে নিজেকে তার সাথে মানিয়ে চলতে শেখাতে হবে, কারন সেও আমাদের কাছে সেই একই জিনিস আশা করছে।
যখন কোন সম্পর্কে দুজন মানুষ একে অপরকে নিঃশর্তে দিতে পারে, যখন দেয় তখন সেই ভালোবাসাকে অনুভব করে, ভালবাসা দেওয়া নেওয়ার কোন হিসাব রাখে না, কারন ভালবাসতেই তখন তারা ব্যস্ত, তাদের সম্পর্ক তাদের কাছে কখনো বোঝা হয় না, তা প্রতিদিন তাদের নিজেদেরকে ভালবাসার সুযোগ হয়।
তুমি কারোর কাছে যা খোজ, সেও তোমার কাছ থেকে একই জিনিস খোজে। যদি কোন সম্পর্কে দুজন একে অপরের কাছ থেকে একই জিনিস চায়, কেউ তা পায় না, সেখানে এমন একজন থাকা উচিত যে তা দিতে পারবে। তুমি এমন একজন মানুষকে খোজ যার সাথে তুমি সুখে থাকবে, তেমনি সেও এমন একজনকে খোজে যার সাথে সে সুখে থাকবে। তবে সেখানে কেউ যদি অন্য কাউর কাছ থেকে সুখ না চেয়ে অন্য কাউকে সুখে রাখতে না চায়, তবে তার ফল কিছুই হয় না।
তোমার সাথে কেউ যদি নিজে সুখে থাকতে পারবে বলে মনে করে তবে তুমি নিজেকে বা নিজের জীবনকে অন্যের যোগ্য করে তুলেছ। তাই নিজের অপর গর্ভ কর।
সে যে কেউ হোক না কেন তোমার কাছে এসে তাকেও একটু পরিশ্রম করতে হবে কারন কোন দেশ, কোন জায়গা যতই ভালো হোক না কেন, সেখানে যতই সুযোগ হোক না কেন, সেখনে তার ভাগ্য তৈরী করতে তাকেও পরিশ্রম করতে হয়।
তাই তোমার জীবনে যে কেউ আসলে তার জীবনকে সুন্দর করে নেবার দায়িত্ব কিছুটা তার ওপরেও থাকে। তাই তুমি তোমার জীবনকে সুন্দর করলে তুমি তার জীবনকে সুন্দর করছ না, বরং তার ভারকে লাঘব করছ। তাতে প্রথমে তোমার জীবনই সুন্দর হয়ে উঠবে, তার জীবন নয়।
সে যে কেউ হোক না কেন তোমার কাছে এসে তাকেও একটু পরিশ্রম করতে হবে কারন কোন দেশ, কোন জায়গা যতই ভালো হোক না কেন, সেখানে যতই সুযোগ হোক না কেন, সেখনে তার ভাগ্য তৈরী করতে তাকেও পরিশ্রম করতে হয়।
তাই তোমার জীবনে যে কেউ আসলে তার জীবনকে সুন্দর করে নেবার দায়িত্ব কিছুটা তার ওপরেও থাকে। তাই তুমি তোমার জীবনকে সুন্দর করলে তুমি তার জীবনকে সুন্দর করছ না, বরং তার ভারকে লাঘব করছ। তাতে প্রথমে তোমার জীবনই সুন্দর হয়ে উঠবে, তার জীবন নয়।
ভালবাসা হল সেই হওয়া প্রথমে যা আমার গায়ে লেগে তার কাছে গিয়ে পৌচ্ছায়। আমাদের গায়ে না লাগলে সেই হওয়া তার কাছে গেলে সে বুঝতে পারে না এই হাওয়া কোথা থেকে এসেছিল। কাউকে ভালোবাসলে প্রথমে আমরা তা অনুভব করি তারপর অন্য কেউ পায়, তেমনি কাউর জন্য জীবনকে সুন্দর করলে প্রথমে সেখানে আমরা আরও সুখে থাকি তারপর সেই সুখ অন্যকেউ পায়।
যে কেউ আমাদের সাথে সুখে থাকলে তাতে আমাদের জীবনই সুখের হয়ে উঠছে কারন আমরা যেকোন মানুষকে নিজের জন্য সবচেয়ে সেরা, সবচেয়ে প্রিয় মানুষ বলে তাকে ভালোবাসতে পারছি। একজনের চোখ আর একজনকে নিজের জন্য যোগ্য করে তোলে। তার জাত, কূল, বংশ পরিচয় তাকে কাউর চোখে যোগ্য করে না।
আমরা আমাদের নিজেদের মনের দেশকে কেমন তৈরী করব যে তাকে আশ্রয় দান করে, তাকে স্বপ্ন দেখতে শেখাবে, তাকে সুখে রাখবে?
যদি কোন জায়গার যোগ্যতা না থাকে তবে কেউ চেষ্টা করেও তার ভাগ্য গড়তে পারে না। তার যোগ্যতা সেখানে যে দেশ তার যোগ্যতার যোগ্য, যে তার গুনকে সম্মান করে। তাই আমাদের জীবনে কাউর উপস্হিতিকে আমরা কতটা সম্মান করতে পারি? কেউ আমাদের জীবনে কতটা প্রয়োজন তা কি বুঝতে পেরে তাকে নিজেদের যোগ্য করে নেই? নাকি নিজেকে যোগ্যতার আসনে বসিয়ে কাউকে নিজের যোগ্য করতে চাই?
আমাদের নিজেদের সাথে যদি আমাদের সম্পর্ক ভালো হয়, কাউকে তার মত গ্রহন করতে পারি, কাউকে কিছু দেবার ইচ্ছা করি, কাউকে সপ্ন দেখার স্বাধিনতা দেই, অন্যের জন্য যোগ্য নয় বরং নিজের জন্য আরও বেশি যোগ্য হয়ে উঠি তবে আমাদের সেই জীবন সবসময় অন্যের যোগ্য হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন