বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সংসারে অশান্তি তবুও কিভাবে ভালবাসা বজায় রাখা সম্ভব?

যতদিন বৃষ্টি আছে -- তাকে ভালবাস
মনের কারুকাজ করা পাত্রে ধরে রাখ
আগামী সপ্নের সম্ভবনায়……..
                                        __প্রনব মজুনদার
                                                       ( বর্ষার আয়োজন, পৃষ্টা নং, ৪৯,বর্ষামঙ্গল )

      গত এক দশক ধরে প্রতিদিন সকালের মত আজ সকালেও আমার ৮৬ বছর বয়স্ক পিতামহ বাগান থেকে একটি ফুল নিয়ে আমার ঠাম্মাকে দিল। আজ সকালে আমি ভাবলাম আমি তার সাথে ঠাম্মার সঙ্গে দেখা করতে যাব। যখন সে সেই ফুলটিকে তার সমাধিস্তম্ভর উপর রাখল, সে আমার দিকে তাকাল ও বলল, “ যখন সে বেচে ছিল তখন যদি আমি প্রতিদিন সকালে তাকে একটি করে ফুল দিতে পারতাম, তাহলে তার কত ভালো লাগত।”
__মার্ক

     পরিবারের কেউ মারা গেলে আমরা ঘরে তার ফটো টাঙিয়ে রাখি। প্রতিদিন পূজো দেবার সময় তাকেও পূজা করি, প্রতিদিন সেই ফটোতে নতুন একটি ফুলের মালা পরাই, প্রতিদিন সেই ফটো থেকে ধুলো বালি মুছে রাখি। কারন সেই মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, পড়ে আছে শুধু তার স্মৃতি। তার স্মৃতিকে আগলে রাখতে আমরা তার সাথে জুড়ে থাকা সবকিছুকেই আগলে রাখি। প্রতিবছর তার অতুষ্টিক্রিয়া করি, তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
     তবে এই সবকিছু করি তার মৃত্যুর পর, সে যখন বেছে ছিল তখন কি কখনো তার জন্য কিছু করেছি। তার মৃত্যুর পর সে কতটা শান্তি পাবে তা নির্ভর করে সে আমার সাথে কতটা শান্তি পেয়েছে। সে আমার জীবনসঙ্গী হতে পারে, মা-বাবা হতে পারে, আমার পিতামহ অথবা মাতামহ হতে পারে। যখন তারা আমাদের জীবনে ছিল তখন তাদের জন্যে কি করেছি?
     আমাদের জীবনে কাউর মর্ম আমরা তখন বুঝি যখন সে আমাদের ছেড়ে চলে যায়।  তাই এখনও যদি খুব দেরী না হয়ে থাকে তাহলে তার মর্মকে বোঝ।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৩ টে জিনিস যা আমাদের মনে সকলের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলে

যা সকলের প্রতি আমাদের ভালবাসা গড়ে তোলে

যদি কাউকে পছন্দ না করি তাকে ভালবাসা আমাদের কাছে সম্ভব বলে মনে হয় না। কারন জীবনের সবকিছু আমাদের পছন্দ মত তৈরী করি। যদি কোন কিছু আমাদের পছন্দ না হয় তবে তার প্রতি সেই মনভাব বজায় থাকে না।
     কাউকে পছন্দ না হওয়া ভালবাসার শুন্যতা নয়। তুমি যাকে পছন্দ কর না তাকে কি তুমি ঘৃনা কর? যদি এই প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হয় তবে তুমি তাকে ভালবাস। তার প্রতি তোমার ভালবাসার মনভাব বজায় না থাকলেও, তার প্রতি স্বাভাবিক মনভাব বজায় আছে। তাই তার প্রতি তোমার ভালবাসা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় নি, যদি তা হতো তাহলে তুমি তাকে ঘৃণা করতে।
     এই স্বাভাবিক মনভাবকে ভালবাসার প্রতিও নিয়ে যাওয়া যায়, ঘৃণার প্রতিও ঘোরানো যায়, আবার তার প্রতি সারাজীবন স্বাভাবিক মনভাবও বজায় রাখা যায়। আমরা চাই আমাদের জীবনে যেই আসুক না কেন আমরা তাকে ভালবাসি ও তার কাছ থেকেও ভালবাসা ফিরে পাই।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভালবাসা কাকে বলে? কিভাবে সত্যিই কাউকে ভালবাসা যায়?

কিভাবে ভালবাসা যায়

      দুটি প্রজাপতি পরস্পরকে খুব ভালবাসত। তারা একদিন ভাবল তাদের ভেতর কে কাকে বেশি ভালবাসে। এর কোন উপায় না খুঁজে পেয়ে ২য়  প্রজাপতিটি বলল, ‘ঐ  ফুলটি সকালে ফুটলে তাতে প্রথমে যে এসে বসবে তার ভালবাসা সবচেয়ে বেশি প্রমান হবে’। 
দ্বিতীয় প্রজাপতিটি সকালের অপেক্ষা করল না, সে সারারাত সেই ফুলের কাছে বসে রইল। সকাল হবার সময় যখন ফুলটি ফুটলো সে দেখল প্রথম প্রজাপতিটি তার ভেতর দম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। দ্বিতীয় প্রজাপতিটি আসার আগেই ১ম প্রজাপতিটি ফুলের পাপড়ি ভেদ করে তার ভেতর বসে ছিল।
     সেদিন শর্ত অনুসারে প্রমান হল, ১ম প্রজাপতিটি তাকে বেশি ভালবাসে। কারন ১ম জনের কাছে সেই বাজি যেটাই সবকিছু ছিল, তাতে তার প্রাণ যাক না কেন।
      ১ম প্রজাপতিটির পাখনা চিড়ে গেছে, পায়ে আঘাত লেগেছে, ভালোভাবে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে এই অবস্হায় তাকে দেখে ২য় জন সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গেল, অনেক দিন ধরে তার শ্রুশুয়া করল, তার মুখে খাবার তুলে দিল, নতুন করে তার পাখনা গজানো অবধি সবসময় তার কাছ থেকে তাকে আত্মরক্ষা করল। তবে দ্বিতীয়জন সেই বাজী হেরে গেছে। সবাই ভাবল প্রথম জন দ্বিতীয় জনকে বেশি ভালবাসে।