সুর, তাল, ছন্দের সাথে যার জীবন, তাকে সুর খুঁজে পেতে কষ্ট করতে হয় না। যে কিনা গান লিখবে বলে সুর খুজতে চায়, সে সব কিছুতেই সুর খুঁজে পায়। সকালে উঠে বাতাসের ভেতর পাখিদের যে সুর ভেসে আসে, বেলা বয়ে গেলে সেখানে জনমানবের কক্কোল, প্রখর দুপুরে রোদের সোনালী মেলায়, আবার সন্ধ্যা রানী এসে যখন সেখানে সন্ধ্যা নামায়, সেই সব কিছুর ভেতর থেকে সেই ব্যক্তি গানের উপাদান খুঁজে পায়। সে সব কিছু থেকেই তার গানের সুর খুঁজে পায়।
আকাশের কোনে আলোর আভাস দেখে
জেগে ওঠে আলো পাখির বাসাতে।
কন্ঠ ছেড়ে ডাক দিয়ে তোলে
সকালের আলোতে চোখ মুছে দিয়ে
দিয়ে যাও সুর পাখির কন্ঠ পুরে।
বাতাসের গায়ে লেগে থাকে সুর
বেজে ওঠে তাতে কবির গানের নুপুর।
বেলা বয়ে গিয়ে পায় সে দুপুর
বাতাসে খেলা করা সোনালী রোদ্দুর।
সন্ধ্যারানী ঢেকে দেয় সন্ধ্যার আচল
তার সাথে বেজে ওঠে কবির গানের কাকন।
কত রূপে সজ্জা তোমার মাথা
পাই যদি একটু সুরের জায়গা।
মানুষ কিবা পক্ষীর কন্ঠের ভালবাসা
বেধে দিয়ে যাও আমার সুরের বীনা।
আনন্দের ফুলঝুড়ি বাতাসের সুর
পাখির কিচির মিচির, কোলাহলের দুপুর।
চাতকের মত চেয়ে থাকি তোমার ওপর
শ্রবণে শুধু তোমায় শুনি আমার ভেতর।
তোমারি সুর থাকে হৃদয়ের প্রতি ঝঙ্কারে
প্রকৃতির উ ত্সব আমার হৃদয় মন্দিরে।
আমার কবিতার জীবন
শুধু তোমার শুধু ফসল।
বাতাসের সুর হৃদয়ের নুপুর
পাখির কির কির শ্রবণে মধুর।
জীবনের সুর এই উ ত্সবের পুর
সেই সুরের গান লেখা হয়েছে প্রচুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন