বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬

যা বুঝলে, ভালবাসা সারাজীবন দুজনকে একসাথে রাখে


ভালবাসা চাইবার অঙ্গভঙ্গি হল ভালবাসা। কাউকে ভালোবেসেই আমরা  তার কাছে ভালবাসা চাই, কাউকে ভালো না বেসে তার কাছ থেকে ভালবাসা চাইবার কোন উপায় আমাদের নেই। আমরা কাউকে ভালবাসি এই আসা নিয়ে যে সেও আমাকে ভালবাসবে। তবে সেই ভালোবাসাকে ফিরে পেতে বা তার কাছ থেকে ভালবাসা চাইতে প্রথমে আমরা ভালোবাসি। কারন তার কাছ থেকে ভালবাসা চাইবার উপায় হল তাকে ভালবাসা।
আমরা আমাদের সম্ভবনাকে কখনো বুঝি না বা বুঝতে চাই না। কোন কাজ সফল হবার সম্ভবনা আমাদের কাছে কতখনি তা আমরা কখনো ভেবে দেখি না। কাউর কাছ থেকে ভালবাসা ফিরে পাবার সম্ভবনা যদি আমরা না দেখি তখন সেখানে আর চেষ্টাও করি না। তাই আমরা সেই সম্ভবনাকে না দেখে ব্যর্থ হবার ভয় করি। আমাদের মধ্যে কি আছে, আমরা কতটা কাজ করতে পারি, আমাদের ক্ষমতা তখন শুধু আমাদের ভেতরেই অন্তর্নিহিত থেকে যায়। যেমন, একজন গায়ক প্রথম যে দিন গান গেয়েছিল সে দিন হয়ত তার গান শুনতে দুই জন লোক এসেছিল, সেই দুইজন লোককে দেখে যদি সে গান গাওয়া ছেড়ে দেয় তবে সে তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা শিল্পীকেও মেরে ফেলে। শুধু তাই নয় একজন সুন্দর গায়কও এই পৃথিবী হারিয়ে ফেলে। সভায় মাত্র দুইজন লোক দেখে সে যদি তার গায়ক হবার সম্ভবনাকে না দেখে গান গাওয়া ছেড়ে দেয় তবে সে তার ভেতরে থাকা শক্তিকেও অপ্রকাশিত করে রাখে।

যদি কাউকে ভালোবেসে তার কাছ থেকে ভালবাসা ফিরে পাবার সম্ভবনা না দেখি তবে আমাদের কী কোন ক্ষতি হবে ? যদি কোন গায়ক গান করেও তার শ্রতাদের মনের পছন্দ হতে পারল না, তবে কী গান করে তার কোন ক্ষতি হয়েছে ?  না, বরং সে গান করে আরও ভালো সঙ্গীতজ্ঞ হয়েছে, সে তার ক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করেছে। তার গান যে পছন্দ করে তাকে শুধু  তাদের সংস্পর্শে যেতে হবে। ঠিক তেমনি কাউকে ভালোবাসলেও আমাদের মনে ভালবাসার গুনটি বৃদ্ধি পাবে, ভালবাসার আরও ক্ষমতা জন্মাবে। যার মনে এত ভালবাসা থাকবে সে তো এমনই সুখী হবে, কাউর কাছে থেকে আর একটু ভালবাসা পাবার আসা তার থাকবে না। তখন তাকে শুধু তার ভালবাসার উপযুক্ত পাত্র খুজতে হবে। সেই সময় উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তুমি  তাকে আরও বেশি ভালবাসতে পারবে, কারণ তুমি আগে থেকে আরও বেশি ভালবাসা নিয়ে এসেছ। তখন তোমার প্রিয়জন তোমার কাছ থেকে আরও বেশি ভালবাসা পাবে। সেটা আমাদের জন্য সুখের নয় যে আগের সম্ভবনা ব্যর্থ হবার ফলেই এই সম্ভবনাতে আরও বেশি ভালবাসতে পেরেছি।
আমরা আমাদের আসে পাশে যদি দেখি কাউর সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে তবে তাতে আমাদের কত খারাপ লাগে। তাহলে তাদের কত খারাপ লাগে যাদের জীবনে সত্যি এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি জীবনের লক্ষ সুখের সন্ধান করা, আমাদের যা আছে তাতে সুখ খোজা নয়। যদি তাই হয় তাহলে আমরা এটাও নিশ্চয় ভাবব জীবনের লক্ষ ভালোবাসাকে সন্ধান করা, ঠিক নিজের মত মানুষকে খুঁজে বেড়ান, যে পাশে আছে তার সাথে নিজের মনকে মিলিয়ে দেখা নয়।
আমাদের সকলেই খুব শিক্ষিত তবে আমরা কখনো একথা জানি না যে দুজন মানুষ কখনও একরকম হতে পারি না। তাদের ভেতর বৈষম্য থাকবেই এবং আমাদের জীবনের এই বিভিন্নতাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বর সৌন্দর্য। একজন মা বাবার সাথে তার সন্তানের অনেক মিল থাকে, কেউ বলে তার চোখদুটি তার মার মত, তার নাকটি বাবার মত তবে সেই সন্তানের তার মা বাবার সাথে কিছু বৈষম্য থাকে। ঠিক তেমনি আমরা যতই খুজী না কেন আমরা আমাদের মত মানুষকে কখনো নিজের জীবনসঙ্গী রূপে পাই না। তার সাথে আমার কিছু গুনের মিল হতে পারে কিন্তু আমাদের স্বভাবে আমাদের অভিব্যক্তি বজায় থাকবে।  তাই ভালোবাসাকে না খুঁজে আমরা যদি নিজেদের বিভিন্নতাকে সম্মান করি তবে আমরা ভালোবাসাকে অনুভব করব।  আমরা ভালোবাসাকে না খুঁজে তখন আমরা ভালোবাসাকে ভোগ করি। যদি আমরা বুঝি জীবনে ভালবাসা সন্ধান করা নয় বরং তাকে অনুভব করা তাহলে এটাও বুঝব জীবনে সুখের সন্ধান নয় বরং সুখে থাকা।

এই পৃথিবীতে  যা কিছু সুন্দর তা অনেক সময় ধরে সৃষ্টি হয়েছে। এই পৃথিবীতে সে তার জায়গা তৈরী করতে সে খুব কষ্ট করেছে। এখানে কেউ খুব সহজে তার জায়গা খুঁজে পায়নি। একটি হীরা কয়লার খনিতে কত বছর চাপা পরে থেকেই সে হীরা হয়। একজন মানুষ কত কষ্ট সয়ে নিয়েই সে সমাজে তার প্রতিষ্টা পায়। একজন বিখ্যাত মানুষকে দেখে মনে করি তার কত গুন, কত ভাগ্য তবে তার পেছনে লুকিয়ে থাকা পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় আমরা দেখি না। তেমনি আমরা যখন একটি ভালো ও সুন্দর সম্পর্কের উদাহরন দেখি আমরা ভাবি তারা কত সুখী, কত ভাগ্যবান তবে তাদের সেই সম্পর্কের পেছনে লুকিয়ে থাকা তাদের ত্যাগ ও সংকল্পনাকে কখনো দেখি না। তাদের সম্পর্কেও অনেক জোয়ার ভাটা এসেছে, তাদেরকেও তাদের নিজেদের বিভিন্নতার সাথে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তাই তারা আজকে তাদের সম্পর্ক সুন্দর করতে পেরেছে।

কয়দিন আগে নেপালে ভূমিকম্প হল, ভূমিকম্প কেন হয় ? শিলাস্তর যদি কোন জায়গায় সুবিন্যস্ত না থাকে তবে সেই প্লেট দুটি পরস্পরের সঙ্গে সংর্ষের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সুবিন্যস্ত করার চেষ্টা করে। আর এই সংঘর্ষ ততদিন চলতে থাকবে যতদিন তারা সুবিন্যস্ত হচ্ছে। নবীন ভঙ্গিল পর্বতের শিলাস্তর এখনো সুবিন্যস্ত হয়নি তাই এইসব এলাকায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। যখন সেই শিলাস্তর গুলি মিলিত হয়ে সুবিন্যস্ত হবে তখন তাদের মধ্যে আর সংঘর্ষ হবে না। অনেক সময় পরে তারা সুবিন্যস্ত হয়। তেমনি একজন মানুষের সাথে আর একজনের সংঘর্ষ ততদিন চলতে থাকে যতদিন তাদের পরস্পরের মিল না হয়। তাদের মিল হয়ে গেলে একজনের গুন, দোষ আর একজনের সাথে মাইল মিশে যদি তারা তাদের জীবনের সাথে মিশে যায় তখন তাদের সংঘর্ষ বন্দ হয়ে যায়। তবে তার জন্য তাদের পরস্পরকে সময় দিতে হয়।

এই পৃথিবীও নিজেকে সুন্দর করতে অনেক বছর অপেক্ষা করেছে, তার প্রকৃতি এখনও সুন্দর হতে নিজেকে সময় দিচ্ছে, তবে মনুষ কেন তার সম্পর্ক সুন্দর করতে সময় দেবে না।

বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০১৬

প্রাথমিক ৫ টি পদক্ষেপ ধীরে ধীরে পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য


“আমি তোমাকে আমার কর্ম হইতে বিশ্বাস দেখাইব।”
                                                                         যাকোব (২:১৮)
      আমরা যাকে ভালবাসি সে আমাদের বিশ্বাস না করলে তার প্রতি আমাদের ভালবাসা বজায় থাকে না। ধীরে ধীরে তার প্রতি ভালবাসা মলিন হতে থাকে। আমরা কাউকে ভালবাসলে সে যদি আমাদের উপর সহজে বিশ্বাস করতে না পারে, তবে তার জন্য দুঃখ না পেয়ে যদি নিজেদেরকে একটু সময় দেওয়া হয় তাহলে সেই বিশ্বাস গড়ে তোলা যায়। নতুবা কাউর প্রতি বিশ্বাস, ভরসা করলে তার থেকে কিছু ফিরে না পেলে তা আমাদেরকে পরস্পরের থেকে দূর করে দেয়। তাই আমাদের জানার প্রয়োজন বোধ হয় কিভাবে আমরা নিজেদের ভেতর পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারি।
      কয়দিন আগে আমি আমার দিদির ৬ বছরের ছোট মেয়ের সাথে একটা খেলা করছিলাম। সে সোজাভাবে দাড়িয়ে পিছনে খাড়া ভাবে পড়ে যাবে আর আমি পিছনে থেকে ওকে ধরে নেব। প্রথমে ও খাড়া ভাবে পেছনে পরে যেতে ভয় পাচ্ছিল, ও ভাবছিল ও পড়ে যাবে। আমি ওকে বললাম, ‘তুই চিন্তা করিস না আমি তোকে ঠিক ধরে নেব’। প্রথমে সে তার সাহস পেল না, তাই বার বার পিছন দিকে পা বাড়িয়ে দিচ্ছিল, বার বার আমি ওকে ধরে ফেলছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে ওর মনে যখন বিশ্বাস জাগল শেষে ও নিশ্চিন্তে খাড়া ভাবে পিছনে পড়ছে আর আমি পিছনে থেকে ওকে ধরে ফেলছি।

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

৬ টি স্বভাব মানুষকে কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে সাহায্য করে (যখন বিশ্বাস করা কঠিন)

        
কিভাবে কাউকে সহজে বিশ্বাস করা সম্ভব

বিশ্বাস করে কাউর হাত ধর একসাথে থাকার সময় তার ভেতর বিশ্বাস খোজার চেষ্টা করো না।
__নিত্য কিশোর চন্দ্র

       আমরা কাউকে বিশ্বাস করলে যদি সেই বিশ্বাস ভেঙে যায় দ্বিতীয়বার আমরা সহজে বিশ্বাস করতে পারি না। যার ফলে যে আমাদের উপর ভুল করেছে তার কিছু হয় না ক্ষতি হয় শুধু আমাদের জীবনের। আমরা একাকিত্ববোধ করি, মানসিক শান্তি হারিয়ে ফেলি, হীনমন্যতায় ভুগি, দশজনের থেকে আলাদা হয়ে বেচে থাকি।
       কেউ আমাদের প্রতি ভুল করলে একা একা বেচে থেকে কেন আমরা নিজেদেরকে কষ্ট দিতে চাই। ভুল যদি সে করে তবে নিজেদেরকে কেন তার স্বাস্তি দিই। একা থেকে, লোকজন থেকে নিজেকে দূর করে, দ্বিতীয়বার কোন সম্পর্ক গড়ে না তোলার সংকল্প করে আমরা তার ভুলের শাস্তি নিজে নিজেকে দিচ্ছি। সে যদি ভুল করে তার কথার দাম না রেখে আমরা ভুল করি তার কথা মনে করে নিজেকে শাস্তি দিয়ে।
      আমরা যদি কাউকে বিশ্বাস করি ও সে আমাদেরকে ঠকাতে সফল হয় তবে জিতবে কে? সে আমাদের ঠকাতে শুধু এই কারনে সফল হয়েছে কারন আমরা তাকে যেটুকু বিশ্বাস করেছি সে সেই বিশ্বাসের যোগ্য নয়। তাই সে সবসময় একজন হেরে যাওয়া মানুষ হয়েই ছিল, তার কথার মূল্য না রেখে সে শুধু আমাদের কাছে তার ব্যর্থ মানুষটাকেই প্রকাশ করেছে। এই কথাটা বুঝলে আমরা কাউর দ্বারা প্রতারিত হলে বসে বসে দুঃখ করতে ইচ্ছা করবে না।

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

সংসারে অশান্তি তবুও কিভাবে ভালবাসা বজায় রাখা সম্ভব?

যতদিন বৃষ্টি আছে -- তাকে ভালবাস
মনের কারুকাজ করা পাত্রে ধরে রাখ
আগামী সপ্নের সম্ভবনায়……..
                                        __প্রনব মজুনদার
                                                       ( বর্ষার আয়োজন, পৃষ্টা নং, ৪৯,বর্ষামঙ্গল )

      গত এক দশক ধরে প্রতিদিন সকালের মত আজ সকালেও আমার ৮৬ বছর বয়স্ক পিতামহ বাগান থেকে একটি ফুল নিয়ে আমার ঠাম্মাকে দিল। আজ সকালে আমি ভাবলাম আমি তার সাথে ঠাম্মার সঙ্গে দেখা করতে যাব। যখন সে সেই ফুলটিকে তার সমাধিস্তম্ভর উপর রাখল, সে আমার দিকে তাকাল ও বলল, “ যখন সে বেচে ছিল তখন যদি আমি প্রতিদিন সকালে তাকে একটি করে ফুল দিতে পারতাম, তাহলে তার কত ভালো লাগত।”
__মার্ক

     পরিবারের কেউ মারা গেলে আমরা ঘরে তার ফটো টাঙিয়ে রাখি। প্রতিদিন পূজো দেবার সময় তাকেও পূজা করি, প্রতিদিন সেই ফটোতে নতুন একটি ফুলের মালা পরাই, প্রতিদিন সেই ফটো থেকে ধুলো বালি মুছে রাখি। কারন সেই মানুষটি আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, পড়ে আছে শুধু তার স্মৃতি। তার স্মৃতিকে আগলে রাখতে আমরা তার সাথে জুড়ে থাকা সবকিছুকেই আগলে রাখি। প্রতিবছর তার অতুষ্টিক্রিয়া করি, তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
     তবে এই সবকিছু করি তার মৃত্যুর পর, সে যখন বেছে ছিল তখন কি কখনো তার জন্য কিছু করেছি। তার মৃত্যুর পর সে কতটা শান্তি পাবে তা নির্ভর করে সে আমার সাথে কতটা শান্তি পেয়েছে। সে আমার জীবনসঙ্গী হতে পারে, মা-বাবা হতে পারে, আমার পিতামহ অথবা মাতামহ হতে পারে। যখন তারা আমাদের জীবনে ছিল তখন তাদের জন্যে কি করেছি?
     আমাদের জীবনে কাউর মর্ম আমরা তখন বুঝি যখন সে আমাদের ছেড়ে চলে যায়।  তাই এখনও যদি খুব দেরী না হয়ে থাকে তাহলে তার মর্মকে বোঝ।

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

৩ টে জিনিস যা আমাদের মনে সকলের প্রতি ভালবাসা গড়ে তোলে

যা সকলের প্রতি আমাদের ভালবাসা গড়ে তোলে

যদি কাউকে পছন্দ না করি তাকে ভালবাসা আমাদের কাছে সম্ভব বলে মনে হয় না। কারন জীবনের সবকিছু আমাদের পছন্দ মত তৈরী করি। যদি কোন কিছু আমাদের পছন্দ না হয় তবে তার প্রতি সেই মনভাব বজায় থাকে না।
     কাউকে পছন্দ না হওয়া ভালবাসার শুন্যতা নয়। তুমি যাকে পছন্দ কর না তাকে কি তুমি ঘৃনা কর? যদি এই প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হয় তবে তুমি তাকে ভালবাস। তার প্রতি তোমার ভালবাসার মনভাব বজায় না থাকলেও, তার প্রতি স্বাভাবিক মনভাব বজায় আছে। তাই তার প্রতি তোমার ভালবাসা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় নি, যদি তা হতো তাহলে তুমি তাকে ঘৃণা করতে।
     এই স্বাভাবিক মনভাবকে ভালবাসার প্রতিও নিয়ে যাওয়া যায়, ঘৃণার প্রতিও ঘোরানো যায়, আবার তার প্রতি সারাজীবন স্বাভাবিক মনভাবও বজায় রাখা যায়। আমরা চাই আমাদের জীবনে যেই আসুক না কেন আমরা তাকে ভালবাসি ও তার কাছ থেকেও ভালবাসা ফিরে পাই।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

ভালবাসা কাকে বলে? কিভাবে সত্যিই কাউকে ভালবাসা যায়?

কিভাবে ভালবাসা যায়

      দুটি প্রজাপতি পরস্পরকে খুব ভালবাসত। তারা একদিন ভাবল তাদের ভেতর কে কাকে বেশি ভালবাসে। এর কোন উপায় না খুঁজে পেয়ে ২য়  প্রজাপতিটি বলল, ‘ঐ  ফুলটি সকালে ফুটলে তাতে প্রথমে যে এসে বসবে তার ভালবাসা সবচেয়ে বেশি প্রমান হবে’। 
দ্বিতীয় প্রজাপতিটি সকালের অপেক্ষা করল না, সে সারারাত সেই ফুলের কাছে বসে রইল। সকাল হবার সময় যখন ফুলটি ফুটলো সে দেখল প্রথম প্রজাপতিটি তার ভেতর দম বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। দ্বিতীয় প্রজাপতিটি আসার আগেই ১ম প্রজাপতিটি ফুলের পাপড়ি ভেদ করে তার ভেতর বসে ছিল।
     সেদিন শর্ত অনুসারে প্রমান হল, ১ম প্রজাপতিটি তাকে বেশি ভালবাসে। কারন ১ম জনের কাছে সেই বাজি যেটাই সবকিছু ছিল, তাতে তার প্রাণ যাক না কেন।
      ১ম প্রজাপতিটির পাখনা চিড়ে গেছে, পায়ে আঘাত লেগেছে, ভালোভাবে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে এই অবস্হায় তাকে দেখে ২য় জন সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গেল, অনেক দিন ধরে তার শ্রুশুয়া করল, তার মুখে খাবার তুলে দিল, নতুন করে তার পাখনা গজানো অবধি সবসময় তার কাছ থেকে তাকে আত্মরক্ষা করল। তবে দ্বিতীয়জন সেই বাজী হেরে গেছে। সবাই ভাবল প্রথম জন দ্বিতীয় জনকে বেশি ভালবাসে।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬

৩ টে জিনিস সাংসারিক একঘেয়েমি দূর করে পরস্পরকে আরও কাছে নিয়ে আসে

সাংসারিক একঘেয়েমি দূর করে পরস্পরকে আরও কাছে আনে

চিরদিন আমরা যেভাবে আমদের জীবন কাটিয়ে এসেছি, সেই ভাবে বাকি জীবনটা চলতে থাকলে তাতে নতুনত্ব কিছু থাকে না। জীবন খুব একঘেয়েমি হয়ে উঠে কারন নিজের অভ্যাসের বাইরে আমরা অন্যকিছু ভাববার সাহস পাই না। সেই সকালে ঘুম ওঠা, কাজে যাওয়া, বাড়ি ফেরা, ঘুমানো, এই সবকিছু আমাদের কাছে একঘেয়েমি হয়ে ওঠে। ঘুম থেকে ওঠার পর কোন আনন্দ থাকে না।
      ঘুম থেকে উঠে যখন ভালো লাগে, অফিসে যেতে ইচ্ছা করে, আবার বাড়ি ফেরারও বেশ উৎসাহ থাকে তখন সেই জীবন আমাদের কাছে খুব সুন্দর। সেই রকম জীবন আমরা সবাই চাই।
      জীবনে নতুনত্ব আনার জন্য আমরা মাঝে মাঝে কোথাও বেরিয়ে আসি, রেস্তরায় খেতে যাই, সিনেমা দেখতে যাই। এই সব কাজগুলি অন্যান্য কাজের থেকে আলাদা তাই এগুলি আমাদের কাছে নতুন লাগে। তেমনি নিজের জীবন শৈলীর ভেতর কি পরিবর্তন করা যেতে পারে যার ফলে আমাদের সাংসারিক জীবন প্রতিদিন আরও নতুন হয়ে উঠবে?