বিবাহে পিতা তার পুত্রীর কন্যাদান করেন তবে পৃথিবীর কাছে কে সকালের দান করেন ? সে আকাশের চাদ; ঘুম পারানির গানে যার পরমাদ, প্রভাতের আলোয় যে মিশে যায়, পৃথিবীকে সাজিয়ে যেন তার কন্যাকে রেখে যায়। কচু পাতায় মুক্তমনি, ঘাসে, ঘাসে জল দেবীকার পুঁথি, আকাশের ললাটে আকা চাদের ছবি, বাতাসে ছড়ানো তার ঘুঙুর গুলি বলছে যেন এ ঐ চাদের কন্যার আগমনী।
ওগো চাদের মেয়ে !
শান্ত পৃথিবী নয়ন মেলে তোমা পানে চেয়ে আছে।
চপল চরনে এস ধরনীতে,
চাইছে পৃথিবী তোমার দেখা পেতে;
সকলে চোখ মুছে তোমায় দেখতে চায়,
ওগো চাদের মেয়ে !
দিগন্তের ঘোমটা তুলে এসো চোখের পড়ে।
তারার আকাশ বিদায় দিয়ে,
তোমার আকাশ আন পাখির গানে;
পলক চেপে ঘুমঘোরে আছে সব্বাই,
ফুলের কুড়ি পাপড়ি হতে তোমার অপেক্ষায়।
ওগো চাদের মেয়ে !
তোমার পিতার হাত থেকে পাব তোমায় কন্যাদানে।
তোমার সাথে শুভদৃষ্টি বেধে,
আমার সৃজনরহস্য ফুটবে পুষ্পটিয়ে;
উষার আমেজী বরমাল্য দিয়ে বরন কর আমাকে,
পুষ্পের ভান্ডারে সাজবে ভরে আমাদের সংসারে।
ওগো চাদের মেয়ে !
পিতার আয়ু ফুরিয়ে এলে আস পিতার আলো হয়ে।
পিতাকে কপাল কোলে রেখে,
তার সাথে আস এই বন্ধনে;
পিতার ছায়া একে রাখ তোমার ললাটে,
হাজার ফুলের গন্ধ পেয়েও তুমি নও আপন অহংকারে।
ওগো চাদের মেয়ে !
চাদ দিয়েছে তোমায় আমার হাতে তুলে,
তোমার পিতার কন্যাদানে,
ভরতে এ ধরাতল সৃজন শৃঙ্গারে;
চাদমামা নামে তোমার পিতা পূজিত হন,
তোমার কাছে এসে পিতা কন্যায় মিলে যান।
ওগো চাদের মেয়ে !
পৃথিবী ভরে তুলতে বিশেষ অলংকারে;
তুমি আস তার গায়ে পড়ে,
ফুলে, ফুলে, ঘাসে, ঘাসে, ভূষন জড়িয়ে;
তোমার পিতা তোমায় দিয়ে আপন ভুলতে চান
সৃজন রহস্যে পিতার এই পরম কন্যা দান।
__ নিত্য কিশোর চন্দ্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন