একজন মেয়ে কখনো কারোর মা, কখনো কারোর স্ত্রী, কখনো সে বালিকা, কখনো বা প্রেমিকা, কখনো গৃহবধূ, কখনো চাকুরীরতা। গৃহ তার হাতেই সাজে, সেই গৃহের শৃঙ্গার শুধু তার জন্যে। সে সংসার সৃজন করে। তার ছায়ায় সন্তান-সন্ততি বেড়ে ওঠে ,তারা সত্ বিদ্যা, সত্ বুদ্ধি পায় শুধু তার মায়ের কাছে। সে মা হয়ে থাকে। তার বুদ্ধি নীপুনতায় পুরুষ শক্তি পায়, তার শৃঙ্গার পৌরুষ পুষ্টিতায়, তার ছোয়া আছে কবির কবিতায়। কত রূপে তুমি নারী এ দুনিয়ায়।
জগতেরমাঝে কত বিচিত্ররূপে তুমিনারী
তুমি বিচিত্রবিহারীনি।
অম্বর, ভূধর, সর্বচরাচর তার সাক্ষী
তোমারহাতেই জ্বলে সংসারের প্রদীপ্তশিখাটি।
তুমি সংসারসৃজনকারী।
কে তোমায় দিয়েছে এতশক্তি
তোমারবুদ্ধিতে পুরুষ হয় আত্মবিশ্বাসী।
তোমারছায়ায় বড় হয় সন্তান-সন্ততি।
তুমি শক্তিসঞ্চারী।
তোমায়নিয়ে কত গান লিখেছেকবি
তোমারনাম রটেছে কত গীতালি।
তুমিইতার দক্ষ কারিগরী।
তুমি রাগ ও রাগিনী।
যখন তুমি শৃঙ্গার করবহুমুখী
তোমারচাঞ্চলে রক্তে তরঙ্গ তুলি।
তুমি পুরুষের মনে বিদ্যুত্সঞ্চারিনী।
তুমি তেজস্বওষৌসী।
জগতেরমাঝে কত বিচিত্ররূপে তুমিনারী
তুমি বিচিত্রবিহারীনি।
শুধু সুন্দর নও কারোরজন্য তুমি সুন্দরী
চাদেরআলোয় যেমন সূর্যের প্রতিচ্ছবি।
নারীকেসুন্দর করেছে পুরুষের ঐআখি।
তুমি সৌন্দর্যসঞ্চারী।
তোমারষোলা কলা, সিন্দুরী
পুরুষকেগড়েছে তার পৌষ্টিকতা আনি।
আসনে, বসনে রেখেছে তাকে ডাকি।
তুমি পৌরুষপুষ্টিদায়ী।
যখন দেখি তোমার নিত্যদিনযামী
ভোর হতে রাতি সংসারেরমায়ার বাধনে বাধি।
তোমারপ্রেমে সকল প্রাণই প্রেমী।
তুমি সংসারবন্দিনী।
তুমি কখন কারোর অবুঝস্বপ্নে স্বপ্ননচারিনী
কখনও সৃজনসখী ও তার জীবনসঙ্গিনী।
তুমি রাগ, রাগিনী তোমারসাথে জীবন ছন্দময়ী।
তুমি বহু রূপমুখী।
জগতেরমাঝে কত বিচিত্ররূপে তুমিনারী
তুমি বিচিত্রবিহারীনি।
__ নিত্যকিশোর চন্দ্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন