আমরা কোন কিছু পছন্দকরি কাউকে পছন্দ করে। তাকোন বস্তুই হোক, কোনবর্ণই হোক, কোন কন্ঠইহোক বা কোন পছন্দইহোক। সন্তান তার মাকে ভালবাসারপরই সকলকে ভালবাসতে শেখে, কবি কবিতাকে ভালবাসার পরই শিল্পীকে ভালবাসতেশেখে, বন্ধু প্রথম বন্দুত্বকেভালবাসার পরই তার দাম্পত্যজীবনকে ভালবাসতে পারে। কোনকিছু আমরা পছন্দ করি, কাউকে পছন্দ করার পরে। কাউরগুনকে পছন্দ করে সেসেই গুনকে ভালবাসে, কাউরকবিতা পছন্দ করে সেকবিতাকে ভালবাসতে শেখে। তেমনিপৃথিবীর সকল মানুষ, প্রাণী, জীব-জন্তু, এমনকিছোটখাটো বস্তুর প্রতি ভালবাসাজন্ম হয় অন্তত কাউকেভালোবেসে, অন্তত একবার ভালোবেসে, একটি নিশ্বাসে।
ঐ শিথির সিদুর,হাতেরশাখা-পলা কখনই ছিলনা পছন্দ
তবে যেদিন থেকে দেখেছি
সে সবকিছু তো আমারনামে তোমাতে সৃষ্ট,
সেদিনথেকে ঐ সোহাগী দৃশ্যআমার খুব পছন্দ।
তবে যেদিন থেকে দেখেছি
তোমারমাথায় আমার নামের সিদুরেরবর্ণ,
সেদিনথেকে ঐ লাল রংহয়েছে আমার খুব পছন্দ।
প্রথমেকালো আকাশের কোন তারাইহতো না পছন্দ
তবে যেদিন থেকে দেখেছি
তোমারকাজলকালো চোখেরতারা আমার ভালবাসায় মুগ্ধ,
সেদিনথেকে ঐ কালো আকাশেরতারাদের খুব পছন্দ।
প্রথমেকোন গোলাপ ছিল নাআমার এত পছন্দ
তবে যেদিন থেকে দেখেছি
তোমারঠোটেও সেই গোলাপী পাপড়িরএকই বর্ণ,
সেদিনথেকে এই গোলাপকে করেছিআমি খুব পছন্দ।
প্রথমেপছন্দ ছিল না আমারঐ কোকিলের কন্ঠ
তবে যেদিন থেকে শুনেছি
তোমারকথার মিষ্টত্ব ঐ কোকিলের কন্ঠেরমত
সেদিনথেকে তার সুরীলী কন্ঠআমার কাছে খুব পছন্দ।
প্রথমেতো কোন গন্ধই বুঝতনা তা কী পছন্দ
তবে যেদিন থেকে পেয়েছি
তব অঙ্গকুসুমপাতে সলাজে কত ফুলের গন্ধ
সেদিনথেকে সব সুবাস ওসুগন্ধই আমার হয় খুবপছন্দ।
প্রথমেতো কোন গানই হতোনা আমার পছন্দ
তবে যেদিন থেকে শুনেছি
তোমারপায়ের চাঞ্চল্যে ছড়িয়ে পরা নুপুরেরসুর ও ছন্দ,
সেদিনথেকে জগতের সকল সুরও সঙ্গীত করেছি আমিপছন্দ।
প্রথমেজীবনটা ছিল না আমারএত পছন্দ
তবে যেদিন থেকে এসেছ
তুমি এ জীবনে নবসৌরভের মত,
সেদিনথেকে নিবিড় ভাবে বুঝেছিজীবনের সকল আনন্দ।
__ নিত্যকিশোর চন্দ্র
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন